নুসরাত পাইরিন,কক্সবাজার :

কক্সবাজার শহরে অবস্থিত ৩টি সিনেমা হলের মধ্যে একটি বন্ধ হয়ে গেছে চার বছর পুর্বে। অবশিষ্ট দুইটি সিনেমা হলেও দর্শক শূন্যতার কারনে বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম দেখা দিয়েছে।কক্সবাজার শহরের প্রানকেন্দ্রে বাজারঘাটাস্থ নিউ মার্কেট ভবনে চালু করা সিনেমা হলটি মাত্র দুই বছর চালু থাকার পর বন্ধ হয়ে গেছে।মালিক পক্ষ লোকসানের মুখে পড়ে গত চার বছর পূর্বে ঐ সিনেমা হলটি বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়।ঝিলংজা বিজিবি সিনেমা হলটির দাপ্তরিক বিজিবি অডিটরিয়াম।বিজিবি কর্তৃপক্ষ সিনেমা হলটি পরিচালনা জন্য বেসরকারি ব্যক্তিদের কাছে চুক্তিভিত্তিক ইজারা প্রদান করেছে।আধুনিক ও উন্নত সুযোগ সুবিধায় সমৃদ্ধ এই সিনেমা হলটিও বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম দেখা দিয়েছে।অত্যন্ত উন্নত ও রুচিশীল, দর্শক নন্দিত ছায়াছবি প্রদর্শন করেও দর্শক পাওয়া যাচ্ছে না নিয়মিত। দর্শকরা হলমুখীও হচ্ছে না।সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়,একটি চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার পর সিনেমা হলে প্রদর্শনের কয়েকদিনের মধ্যে ঐ চলচ্চিত্র দ্রুত বিভিন্ন মাধ্যমে চলে যাচ্ছে।

এতে দর্শকরা হলে না গিয়েও সিডি,ভিসিডি,এমন কি মুঠোফোনেও চলচ্চিত্রটি দেখতে পাচ্ছে।তথ্যু প্রযুক্তি এই ব্যবহার ও প্রয়োগে চলচ্চিত্র শিল্পে বিনিয়োগ কারীরা কোটি কোটি টাকার ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।একটি চলচ্চিত্র রিলিজ হওয়ার সাথে সাথে পাইরেসি হয়ে সিডি আকারে বাজার চলে আসছে।কক্সবাজার বিজিবি সিনেমা হলের ইজারাদারদের লোকজন জানায়,প্রতি সাপ্তাহে লোকসান বাড়ছে।এভাবেই চললে সিনেমাহলটি যে কোন সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়,শহরের এন্ডারসন রোডে অবস্থিত প্রায় ৬২ বছরের পুরানো কক্সবাজারের প্রথম সিনেমাহল ” টকি হাউস”। চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী সিনেমাহল খুরশিদ মহলের মালিকরা এই টকি হাউসের মালিক বলে জানা যায়।সরেজমিন আরো দেখা যায়,আগে যে দর্শকদের দীর্ঘ লাইন দেখা তা এখন আর নেই।সারাদিন টিকেট বিক্রি হয় ১০/১২ টি। টকি হাউসের টিকেট কাউন্টারের কর্মীরা জানায়, আধুনিক প্রযুক্তির ডিজিটাল মেশিন ও পর্দা বসানো হয়েছে তাদের সিনেমা হলে। শব্দ যন্ত্রও নতুন ভাবে স্থাপন করা হয়েছে। বক্স অফিস ফিট করার পরও ছায়াছবি প্রদর্শিত হচ্ছে।এত কিছু করার পরও দর্শক মিলছে না। বড় দুর্দিন যাচ্ছে। সিনেমা হল বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।সরকারকে কর ( ভ্যাট) ও দিতে হচ্ছে।এখানে কোন রকম ছাড় নেই।শুধু লোকসান আর লোকসান গুনতে হচ্ছে।চলচ্চিত্রের ভবিষ্যৎ কি হবে জানে না কেউ।